চা সুন্দরী প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে বাসস্থান দিচ্ছে মমতা সরকার।

চা বাগানের শ্রমিকদের দুরাবস্থার কথা আমরা সকলেই জানি এবং এই দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় চা শ্রমিকদের নিজস্ব স্থায়ী বাসস্থান দেবার কথা বলা হয়।

কারা চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধা পাবে?

  • পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • যেসমস্ত শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করে শুধুমাত্র তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
  • যে সমস্ত চা বাগানের কর্মীদের স্থায়ী বাসস্থান নেই তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

এই প্রকল্পের সুবিধা

  • যে সমস্ত চা শ্রমিকদের ইতিমধ্যেই সরকার দ্বারা প্রাপ্য পাট্টা জমি রয়েছে তারা বাসস্থানের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন।
  • যে সমস্ত চা শ্রমিকদের বাসস্থান নেই তারা নিজস্ব বাসস্থানের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ পাট্টা জমি ও সেই জমিতে বাড়ি বানানোর জন্য আর্থিক সাহায্য পাবেন।
প্রকল্পচা সুন্দরী
প্রকল্পের সুবিধাচা শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত করা
সুবিধাভোগীচা শ্রমিক
ভারপ্রাপ্তআবাসন বিভাগ

কতটা জমি দেওয়া হবে?

যে সমস্ত চা শ্রমিকদের নিজস্ব বাসস্থান নেই তাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ২৫ বর্গমিটার পাট্টা জমি দেওয়া হবে। যারা পাট্টা জমি সম্বন্ধে অবগত নয় তাদের জানিয়ে রাখি, পাট্টা জমি হলো সরকারি জমি যার মালিকানা থাকে সরকারের হাতে। কিন্তু পাট্টা করার পর সেই জমিটি যার নামে পাট্টা হয় সেই ব্যাক্তির নামে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। পাট্টা একপ্রকারের দলিল স্বরূপ।

আরও পড়ুন- কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে আজই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় আবেদন করুন।

গুরুত্বপূর্ণ ডকোমেন্স

  • স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র
  • চা শ্রমিকের প্রমাণপত্র
  • জমির পাট্টার প্রমাণপত্র
  • আবেদনকারীর নিজস্ব মোবাইল নাম্বার
  • আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

আবেদন পদ্ধতি

চা সুন্দরী প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আবাসন বিভাগের জেলা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে, সেই ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকোমেন্স যুক্ত করে আবাসন বিভাগের জেলা অফিসে জমা করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আবেদনপত্র যাচাই করবেন এবং সমস্ত কিছু সঠিক থাকলে প্রকল্পের সুবিধা আবেদনকারীর কাছে পৌঁছে দেবে।

Leave a Comment